বুনো হাঁস

পেঁচার ধূসর পাখা উড়ে যায় নক্ষত্রের পানে-
জলা মাঠ ছেড়ে দিয়ে চাঁদের আহ্বানে
বুনো হাঁস পাখা মেলে- সাঁই-সাঁই শব্দ শুনি তার;
এক- দুই- তিন- চার- অজস্র- অপার-

রাত্রির কিনার দিয়ে তাহাদের ক্ষিপ্র ডানা ঝাড়া
এঞ্জিনের মতো শব্দে; ছুটিতেছে- ছুটিতেছে তারা।
তার পর প’ড়ে থাকে নক্ষত্রের বিশাল আকাশ,
হাঁসের গায়ের ঘ্রাণ- দু’-একটা কল্পনার হাঁস;

মনে পড়ে কবেকার পাড়াগাঁর অরুণিমা সান্যালের মুখ;
উড়ুক উড়ুক তারা পউষের জ্যোৎস্নায় নীরবে উড়ুক-
কল্পনার হাঁস সব; পৃথিবীর সব ধ্বনি সব রঙ মুছে গেল পর
উড়ুক-উড়ুক তারা হৃদয়ের শব্দহীন জ্যোৎস্নার ভিতর।