বুনো হাঁস (সংযোজিত)

বেগুনি বনের পারে ঝাউ বট হিজলের ডালপালা চুপে-চুপে নেড়ে
কে যেন বিছাতে চায় নীড় তার গাছের মাথার ‘পরে হাঁসের মতন;
তারপর দেখা দেয় এক বার;- নির্জন বনের এই বিস্মিত হাঁসেরে

দেখি আমি- রুপালি পালকে তার উড়ু-উড়ু জাম-পাতা ছায়া শালবন
পড়িতেছে- কালো-কালো শাখা ডাঁট দুলিতেছে ডিমের মতন বুকে তার;
কোনও পাখি দেখি নাই তাহার সন্ধ্যার নীড়ে চোখ মেলে বসেছে এমন

এমন কোমল স্থির নিরিবিলি পালকের রুপো দিয়ে বনের আঁধার
বুনেছিল; দূর বুনো মোরগের বুকে তাই এই রাতে জেগেছে বিস্ময়-
তাহার অধীর শব্দ শুনি আমি- সোনার তীরের মতো জলপায়রার

বুকে এসে এই জ্যোৎস্না ব্যথা দেয়- সহসা গভীর রাত ব্যস্ত যেন হয়
চাঁদের মুখের ‘পরে অনেক মশার পাখা ছোট-ছোট পাখিদের মতো
উড়িতেছে;- মিষ্টি ব্যথা এই সব- জ্যোৎস্নার মাংস খুঁটে লয়;

শরের জঙ্গল নদী ছেড়ে দিয়ে বুনো হাঁস উড়ে চলিতেছে ক্ৰমাগত।
চাঁদ থেকে আরও দূর চাঁদে-চাঁদে- কত হাঁস চাঁদ শত-শত!