চৈত্রের সকাল

চৈত্রের সকাল-
আগুনের মতো রাঙা ফুলের ঝরনায়
কৃষ্ণচূড়া-গাছের সবুজ পাতা ঢাকা প’ড়ে গেছে সব
কৃষ্ণচূড়ার ডালে দু’টো শালিখ
শাখার ফাঁকে-ফাঁকে হাওয়ায় ন’ড়ে-ন’ড়ে
অনেক ক্ষণ ধ’রে খুনশুড়ি করছে

কী তাদের মনের আনন্দ
বিরাট ময়ূরের মতো আকাশের নীল পাখনায় মোড়া
এই কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুলের দেশে
এই পৃথিবীতে…

উৎসব থেমে গেল তবু তাদের
কোন এক নিবিড়তর উৎসবের মানুষ
মাঠে-মাঠে আনন্দ খুঁজছিল
গুলতি হাতে নিয়ে;
একটা শালিখকে সে
ঘাসের ওপর নামাল;
(এমনই-ই
এই তার উৎসব।)
রক্তাক্ত বুকের একটা শালিখ পড়ে রয়েছে
আর-একটা পাখি
কোথায় যে উড়ে গেছে
কোন দূরে
দিগন্তে
সুপুরির বনে
নারকোলের সোনালি ফুলের ভিতর
বিকেলের পড়ন্ত রোদে
সে আবার ফিরে এল;
সে আবার ফিরে এল
সন্ধ্যায়;
গভীর রাতে তারার বিছানা গুটিয়ে ঝেড়ে
সে আবার ফিরে এল;
সে আবার ফিরে এল।
আমার হৃদয়ের ভিতর।

আমিই সেই পাখি
পৃথিবীতে আমি কী নিদারুণ একাকীতম।