দাঁড়াল মানুষ এক

দাঁড়াল মানুষ এক মাড়ি ঘ’ষে চিমসে দাড়িতে
পৃথিবীতে বুড়ো হয়ে তোবড়ায়ে গেছে তার গাল
বাতাসের বিম্ব খায় সকাল বিকাল
অথবা যেমন বিম্ব নির্বিষয়ের থেকে ওঠে থিতে

সময় ভাঙে নি তার চোয়ালের হাড়
শানিত রেখার মতো বেঁকেছে নাসিকা
মনে হয় বড়ো গ্রন্থে যে-সব বর্জাইস পাদটীকা
স্বচ্ছ আকর্ষণ পেত আমাদের স্থিরচিত্ততার

দাঁড়ায়েছে- হাঁটিতেছে- ঠেঙোর উপরে ব’সে আছে
এক দিন ছিল বটে জীবনের বেয়াড়া রসিক
এখানে রয়েছে তার দু’-চারটি সমসাময়িক
অন্তরঙ্গ- অবসন্ন ঘড়ি তুলে সময়ের কাছে

তাহাদের প্রাণে আজও আছে ঢের মূঢ় অহঙ্কার
তারা সব সন্তপ্ত সগর-সন্তান
গভীর নিপুণ ভাবে তবু সে ফেলেছে হেঁটে সময়ের কান
যেন সে দর্জি হলে চোখের মানিক হত দর্জিজায়ার

এক দিন প্রাণে তার ছিল এত গভীর উদ্যম
রূপসিকে করেছিল আজ্ঞাধীন- প্রাজ্ঞ সোক্রাতেস
পারে নি যা- করতালি দিয়ে ভাবে, বেশ
অন্ধকার থেকে বলে দ্বৈপায়ন, উত্তম! উত্তম!

আকাশে যখন চাঁদ ওঠে সন্ধ্যারাতে
এতটুকু লেশ নাই নৃশংসতার
সকল কুকুর আনে কান্নার জোয়ার;
হেসে ম’রে খুন হয় গড়াতে-গড়াতে।

ঘড়ি-ধরা একটি ঘণ্টা হাসে তুড়ি দিয়ে দিয়ে
ফাল হয়ে ঢুকেছিল, সূচ হয়ে যাবে সে পালিয়ে
লক্ষ ফ্যাক্টরি’র মুখে আগুন জ্বালিয়ে
ঘুরিবে অনন্ত কাল ভূত- ভূত- ভূতুমের ঘূর্ণনে গিয়ে।