দেখেছি হৃদয় ঢের

দেখেছি হৃদয় ঢের
ফড়িঙের মতো প্রাণ পথে-পথে বাধা পায়- অকারণে বুকে রক্ত ঝরে
বহু দিন কিশোরের মতো আমি কাটায়েছি কাঁটা-পথে রক্তিম কাঁকরে
কখন এসেছে বুকে অবিশ্বাস- দ্বিধা- প্রশ্ন- রৌদ্রের মাঠের বিশুষ্কতা
তার পর আকাশে-আকাশে ঐ শোনা যায় অন্ধকার তরঙ্গের কথা
সন্ধ্যা এল ভিজে স্তনে; অথবা আসে নি সন্ধ্যা- চলিতেছে চিতার দাহন
দুপুরের;- অন্ধকার সমুদ্রের শীত গন্ধ তবু যেন টের পায় মন
গ্রীষ্মের রাত্রির শেষে গাঙশালিখের দল পৃথিবীর জল খোঁজে- অবিরল
যেমন লভিতে চায়- একরাশ বৃষ্টির মতন ঝরে- যেইখানে নদীর শীতল
অস্পষ্ট নরম মুখ চেয়ে আছে,- যেমন জোনাকি লাউ-লতার আড়ালে
ছায়া খোঁজে যখন কঠিন রোদ প্রান্তরের ডাকিনীর সাদা হাড় জ্বালে
লাউয়ের লতার ঘ্রাণ- সবুজ পশম বুক- সকরুণ নীরব পাতার
করুণ সান্ত্বনা- ছায়া- শান্ত রং- মৃদু শীত ভালো লাগে- ভালো লাগে তার
যেমন নদীর ঢেউ আঁকাবাঁকা পাড়টির কাদামাখা ভিজে গন্ধ খুঁজে
ঝাঁপায়, মুছিয়া যেতে ভালোবাসে; যেমন ধানের শীষে নরম সবুজে
কবে আসে মায়াবীর সোনার রূপের কৌটা- এই অপেক্ষায়
বাঁকা চাঁদ- শিশিরের জল- পেঁচা- কুয়াশা চাহিয়া থাকে, হায়
আমিও রাত্রির দিকে চেয়ে আছি; এখনও আসে নি সন্ধ্যা- চলিতেছে চিতার দাহন
দুপুরের;- অন্ধকার সমুদ্রের শীত গন্ধে ঘুমে তবু ঢুলে পড়ে মন।