দেশ কাল সন্ততি

কোথাও পাবে না শান্তি- যাবে তুমি এক দেশ থেকে দূরদেশে?
এ-মাঠ পুরোনো লাগে- দেয়ালে নোনার গন্ধ- পায়রা শালিখ সব চেনা?
এক ছাদ ছেড়ে দিয়ে অন্য সূর্যে যায় তারা- লক্ষ্যের উদ্দেশে
তবুও অশোকস্তম্ভ কোনও দিকে সান্ত্বনা দেবে না।

কেন লোভে উদ্‌যাপনা? মুখ ম্লান- চোখে তবু উত্তেজনা সাধ?
জীবনের ধার্য বেদনার থেকে এ-নিয়মে নির্মুক্তি কোথায়।
ফড়িং অনেক দূরে উড়ে যায় রোদে ঘাসে- তবু তার কামনা অবাধ
অসীম ফড়িংটিকে খুঁজে পাবে প্রকৃতির গোলকধাঁধায়?

ছেলেটির হাতে বন্দী প্রজাপতি শিশুসূর্যের মতো হাসে;
তবু তার দিন শেষ হয়ে গেল; একদিন হ’ত-ই তো, যেন এই সব
বিদ্যুতের মতো মৃদু ক্ষুদ্র প্রাণ জানে তার; যত বার হৃদয়ের গভীর প্রয়াসে
বাঁধা ছিঁড়ে যেতে চায়- পরিচিত নিরাশায় তত বার হয় সে নীরব।

অলঙ্ঘ্য অন্তঃশীল অন্ধকার ঘিরে আছে সব;
জানে তাহা কীটেরাও, পতঙ্গেরা, শান্ত শিব পাখির ছানাও;
বনহংসীশিশু শূন্যে চোখ মেলে দিয়ে অবাস্তব
স্বস্তি চায়;- হে সৃষ্টির বনহংসী, কী অমৃত চাও?

যুগান্তর। শারদীয় ১৩৫৭