ঢেউয়ে-ঢেউয়ে

ঢেউয়ে-ঢেউয়ে হালভাঙা জাহাজের সাক্ষ্য রেখে দিয়ে-
কুয়াশায় ঘণ্টা নেড়ে কম্পাস তৈরি করে- চাকা
ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে কল ভেঙে গড়ে গড়ে ভেঙে গড়ে
বেনামি নদীকে নাম দান ক’রে নাম ভুলে গিয়ে
মানুষের বিবরণে কুয়াশায় অন্দকারে চলেছে মানুষ;
মৃত মানুষের বোঝা, বিধানের হৃদয়ের অবিরল পচনশীলতা,
মড়কের ইদুরের অন্তহীন খাঁচা নিয়ে চলেছে- চলেছে-
এ-সবের থেকে তবু উৎসারিত অনুভূতি জ্ঞান
প্রেম পেয়ে এইবার সব কুজ্ঝটিকা
শেষ ক’রে মহাসাগরের ভোরে আলো
আরো আলো পাওয়া যাবে?- আরো গাঢ় সম্মিলন?
নদীর ও নীল সমুদ্রের আরো বড় রেখা?
বলয়ের পরে আরো বলয় রয়েছে;
সেখানে অন্তিম শূন্য আছে;
শতকের মহাশতকের
উজ্জ্বলতা আছে।
শ্মশানের স্তব্ধতাও ভালো, তবু উৎস আলো শান্তি প্রীতি সব
ভেতরের- ওপরের- সূর্যের লক্ষ্যে প্রয়াণের।

[উত্তরসূরি। কার্তিক-পৌষ ১৩৬৮]