ধূসর রাতে

অতীতে- ধূসর রাতে- পৃথিবীতে দেখা দিয়েছিল
ঢের জিতচিত্ত দার্শনিক
মাথার ছিদ্র দিয়ে তাহাদের ব’য়ে গেল নানাবিধ নিশির বাতাস
তবুও বিষয় তারা চিনেছিল ঠিক
যেন কোনও সম্রাটের কক্ষে ব’সে মুখোমুখি পাশা
খেলিতে-খেলিতে ক্লান্ত হলে
দীপ আরও লাক্ষার মতন গ’লে সিলমোহরের মতো ওঠে জ্ব’লে
পরিধেয় বস্ত্র নিয়ে উড়ে যায় অক্ষেরা- এমনই গভীর ভালোবাসা।

তখন কী থাকে আর ভাঁড় আর সম্রাটকে জানাবার মতো?
লোষ্ট্রের ভিতরে যদি পরমাণু নিজের নিয়মে কাজ করে
নিজের নিয়মে কাজ ক’রে যায় যদি
হাড়ের মতন সাদা অক্ষের ভিতরে
তা হলে সে অবিরাম নিয়মের নিমিত্তের ভাগী
হাড় হোক, লোষ্ট্র হোক, আকাশের নক্ষত্রেরা হোক
আমাদের মৃত্যু আছে- হে তন্ময় অক্ষচালক
আমরা মৃত্যুর পর নিবিড় সুনিদ্রা থেকে জাগি

যে-মানুষ জেগে ওঠে কে তাহার জুড়ি
সোয়া-দুই হাত এক ঘটকের-মাথার কঙ্কাল
গড়াতে-গড়াতে গিয়ে নদীর নিকটে
চেয়ে দেখে হংসীদের রক্তে এল গোধূলিপ্রাক্কাল
মৈথুনের; তখন সে হেসে উঠে বজ্রের আমোদে দেয় তুড়ি
নিভানো মোমের ঘ্রাণে ষড়যন্ত্র রয়ে গেছে ব’লে
আমাদের শান্তি আছে সংশয় নিরসিত হলে
তার পর ভুলে যায় যে ঘুরায় তার নাম, যারা ঘোরে তাদের চাতুরি।