দম্পতি

সময় হয়েছে ব’লে নাসিকার সব-চেয়ে প্রিয় নিঃশ্বাসের ভুলে আবার কফি’র কাপ বুঝি
হাত পেতে দিই যদি কোনও জ্যোতিষীর হাতে- সব-শেষ বিকেলের নির্মুক্ত ঠিকুজি
চায়ের টেবিলে ঠিক পাথরের রকপাখিটির মতো র’বে?
এখন বিকেলবেলা- বাঙালিটোলা’র সব ফেলটহ্যাট সারা-দিন রোম জয় ক’রে নিয়ে তবে
ঝুলিবে পেগ’এর ‘পরে এই বার
সমস্ত নগরী জুড়ে ভৃত্যেরা যেন নিরুদ্দেশ
মেষশাবকের মতো চিবুতেছে অপাঙ্গে বিস্ময়
কোনও দিন- কোনও দিন- কোনও দিন- ফুরাবে না যেন সুসময়
খানিকটা পেট্রল বিকেলের আবহাওয়াটাকে যেন ঝাঁপ দিয়ে শুঁকে নিল-
কী যেন কী আছে তার মনে
(দু’-একটা মুর্গি’র ডিম যেন মিটসেফ ছেড়ে দিয়ে চ’লে যেতে চায় দূর বনে
হিম বাতাসের মতো অস্পষ্ট আননে)
গম্ভীর চাকুরিজীবী ফিরে এল ঘরে
বন্দরে লেগেছে যেন লবেজান জাহাজের ধৃষ্ট মাস্তুল
অনেক আঙুর- কেক- অনেক স্প্যানিশ মদ আছে তার পেটে
সেই সব চেপে রেখে- চেপে রেখে- আমাদের দেখায় সে মাথার গম্বুজটারে
গোধূলির জাফরান-রঙে তারে জুমা-মসজিদের মতো মনে হয়?- না, শিরিন? মনে হয় না কি তবু?
শুধায় না তবু পরভেজ-
আধগজ গোবি-মরুভূমি ঘিরে কবেকার পরিত্যক্ত উষ্ট্র’দের দু’-একটা ভূপতিত লোমের আমেজ
ভিজিতেছে- স্যাঁতসেঁতে হয়ে গেল ব্যাঙ্কনোট- টাকাকড়ি- পামবীচ সুট- কাম- জননীর ভ্রূণ
ডাইভোর্স ক’রে তুমি চ’লে যাও, প্রিয়তম, স্যাঁতসেঁতে সমুদ্রের মতো দূরে
আমিও অনেক দূরে দুপুরের রৌদ্র গিলে প’ড়ে র’ব বুড়ো বেগুনের মতো নীল নিদ্রিত লেগুন
আত্মা যার জরাসন্ধ-মাস্তুলের মতো- তার খানসামা-
মোলায়েম হাতে দেয় জুতো খুলে আবার বিকেল হলে
অনন্ত বিকেলগুলো যেন এক গিনিপিগ- বিদ্যুতের মতো ফিরে ছুটে এসে চেটে দেয়
হো- হো- চেটে দিল বুঝি বার ষোলো
ঢের দূরে- ঢের দূরে- দুপুরের রৌদ্র গিলে- বুড়ো বেগুনের মতো প’ড়ে র’ব
আমি এক নিদ্রিত লেগুন

মন কবে বালিদ্বীপবাসিনীর মতো মদঘূর্ণনে ঘুরে-ঘুরে পেয়ে গেল শুভবিবাহের রাতে এক অটুট বেবুন
জীবনের সারা-রাত বিড়ালের মতো ভিজে শৌখিন পুতুলের সমদ্রের পারে
এ-বার পলকা নাচ শুরু করো, হে বালিরমণী, তুমি
বেবুনটা ক্লান্ত হয়ে ঘুমাতেছে এখন আঁধারে।