দোয়েল

একটি নীরব লোক মাঠের উপর দিয়ে চুপে
ঈষৎ স্থবিরভাবে হাঁটে।
লাঙল ও বলদের এক-গাল স্থির ছায়া খেয়ে
তাহার হেমন্ত-কাল দুই পায়ে ভর দিয়ে কাটে।

নিজের জলের কাছে ভাগীরথী পরমাত্মীয়।
চেয়েও পায় না তাকে কেউ তার সহিষ্ণু নিভৃতে।
লাশকাটা-ঘরের ছাদের ‘পরে একটি দোয়েল
পৃথিবীর শেষ অপরাহ্নের শীতে

শিস তুলে বিভোর হয়েছে।
কার লাশ? কেটেছিল কারা?
সারা পৃথিবীতে আজ রক্ত ঝরে কেন?
সে-সব কোরাসে একতারা।

অপরাহ্নের চাষা ভুল বুঝে হেঁটে যায় উচ্ছলিত রোদে।
নেই, তবু প্রতিভাত হয়ে ওঠে নারী।
মর্গের মৃত দেহ দোয়েলের শিসে মিটে গেলে
আদিম দোয়েল এলে- অনুভব ক’রে নিতে পারি।