দীর্ঘ শরীর তার

দীর্ঘ শরীর তার পৃথিবীর তেলে-জলে বেড়ে গেছে- উঁচু তাক থেকে অনায়াসে
সব-চেয়ে মিঠে ছানা- সব-চেয়ে ভালো বই পেড়ে নেয় সকলের আগে
তবুও মুগুর ভাঁজে- হাফ-প্যান্টে গদা হাতে ক’রে যদি উঠানে সে কাশে
তা হলে নক্ষত্রপুঞ্জে চীনেহাঁসদের মতো যেন ভীত কলরব জাগে
তবুও সে নক্ষত্রের শত্রু নয়- কারণ সে ভয়ানক জ্ঞানী
দূরবিন আছে তার- পৃথিবীতে- পেলে সে-ই হালে কিছু পেতে পারে পানি

পৃথিবীর ব্যাস কিছু কমিতেছে- বাড়িতেছে- সভ্যতা নিশ্চল
কত দিন আয়ু তার?- কোনও এক নক্ষত্র কি আসিতেছে ছুটে
যেতেছে কি ঋতুমাসগুলো- ক্রমে অদলবদল
এই সব বহুরূপী অনুভাব দড়ি যেন: ছিঁড়ে আর যাবে না সিলুটে
নিমেষেই বিজ্ঞান ঝেড়ে ফেলে কয়েকটা স্যান্ডুইচ খায়
তার পর- ঢের রাতে কেঁপে উঠে বৈদ্যুতিক প্রদীপ নিভায়

এত সব এক দিনে হয় নাই- সেলাইটা নানা বুড়ি বহু দিন ধ’রে গেছে টেঁকে
বেড়েছে সে কেয়ারিতে স্টিলের ঘেরাও দেয়া চারার মতন
এখন সে ঝাউগাছ হয়ে গেছে মেঘের বালিশে মাথা রেখে
মৃত্তিকার নিম্নতম গর্তে তবু আছে তার মন
কী না সে করিতে পারে?- পাঞ্জা ধরিতে চাও-ধরো
মাথায় সে দীর্ঘতর হবে- চাও যদি তবে এসো দেখি- হও দীর্ঘতর।