এখানে প্রাণের স্রোত

এখানে প্রাণের স্রোত আসে যায়- সন্ধ্যায় ঘুমায় নীরবে
মাটির ভিটের ‘পরে- লেগে থাকে অন্ধকার ধুলোর আঘ্রাণ
তাহাদের চোখে-মুখে- কদমের ডালে পেঁচা গেয়ে যায় গান;
মনে হয় এক দিন পৃথিবীতে হয়তো এ-জ্যোৎস্না শুধু রবে,
এই শীত রবে শুধু; রাত্রি ভ’রে এই লক্ষীপেঁচা কথা কবে-
কাঁঠালের ডাল থেকে হিজলের ডালে গিয়ে করিবে আহ্বান
সাপমাসী পোকাটিরে… সেই দিন আঁধারে উঠিবে ন’ড়ে ধান
ইঁদুরের ঠোঁটে-চোখে- বাদুড়ের কালো ডানা করমচা-পল্লবে

কুয়াশারে নিঙড়ায়ে উড়ে যাবে আরও দূর নীল কুয়াশায়;
কেউ তাহা দেখিবে না- সেদিন এ-পাড়াগাঁর পথের বিস্ময়
দেখিতে পাব না আর- ঘুমায়ে রহিবে সব; যেমন ঘুমায়
আজ রাতে মৃত যারা; যেমন হতেছে ঘুমে ক্ষয়
অশ্বত্থ ঝাউয়ের পাতা চুপে-চুপে আজ রাতে, হায়;
যেমন ঘুমায় মৃতা- তাহার বুকের শাড়ি যেমন ঘুমায়।