এখন হেমন্ত ফের

এখন হেমন্ত ফের পৃথিবীর পথে এল- কতগুলো নির্জন বাড়ির
আকুতির পাশ দিয়ে স্মরণীয় সকালবেলার
পথ সোজা চ’লে গেছে যতদূর চ’লে গিয়ে বীথি
মিশে যায় কুয়াশায়- (কোনও) পরিণতিশীল ভবিষ্যৎ।
পৃথিবীতে অনেক ফসলবাড়ি ঢের
মরুভূমিবাড়ি দুই পাশে রেখে চ’লে গেছে পথ
ইতিহাসে মুখ চিনে- অচিহ্নিত পরিচিত হ’য়ে
কোথাও বাঁকের দিকে- নিজের চেয়েও স্বাভাবিক
শুদ্ধ শুভ্রতর কিছু খুঁজে নিতে সেখানে এখনও
জীবনের নাবিকেরা যায় নাই- যেতে পারে, আমি
আজকের নিঃসহায় অন্ধ শতাব্দীতে
অনেক পুরোনো চিহ্ন মূল্যের আকাশ
শেষ হ’য়ে গেছে জানি- শেষ
হ’য়ে গেছে মনে হয় কোথাও নবীন
সময়ের সঞ্চারণে আরও ভালো হতে পারে কিনা
অনুভব ক’রে নিতে গিয়ে মৃত ভূলুণ্ঠিত ঘর
সত্যের মতন আমার পায়ের নীচে আমার পিতার
পিতামহ লোকদের জগতের শ্রান্ত নক্ষত্রেরা
প’ড়ে আছে- আমাদের এই যুগ সমসাময়িক এই যুগ
নীহারিকা নক্ষত্রের ক্লান্ত-ক্লান্ত পতনের তবে
সেই সব প্রিয়দের মৃত্যুর ভিতরে মৃত্যুর
অনর্গল অন্ত্যোষ্টির শব্দ হয়- সন্মুখের সিঁড়ি
বেয়ে যত অগ্রসর হ’য়ে যেতে চাই
জীবনের দিকে আমি।