এখন রাতের শেষে

ঊর্ণনাভের জালে আবার নেমেছে ব্রহ্মা হৃদয়ের কাজ বুঝে নিয়ে
সেইখানে শান্ত সব শিশিরের সূপে
ভোরবেলা থেকে-থেকে জ্ব’লে ওঠে আধ-ফুট সূর্যের রূপে
ঘাসের উপরে সব ভূতেরা গিয়েছে খেলে- জ্যোৎস্নার রাতে
মহেঞ্জোদড়ো’র থেকে নেমে এসে
তাদের গায়ের ঘ্রাণ এখনও বাতাসে লেগে আছে মনে হয়
একটি ধবল ঘোড়া সন্দেহআতুর হয়ে পল-নিপলের অবলেশে
তাকায়ে রয়েছে দূর চক্রবাল-নীলিমার কুয়াশার দিকে
সেইখানে কারা তবু আছে
অনেক ধূসর ঘোড়া খেলে যেত যদি কোনও মেহগনি-অরণ্যে সেখানে
সোনালি, সবুজ, নীল কাকাতুয়াগুলো যদি জটিল শিকড়শীল গাছে
অসংখ্য ভাষায় হেসে খুন হয়ে ব’লে যায় কমলারঙিন রৌদ্র ঘিরে
তা হলে এ-পৃথিবীর রাজনীতিবিদ, যোদ্ধা, নেতারা এখন
ডুবে যাক সমুদ্রের পুরুভুজ- পাললিক মলের ভিতরে
যদিও তাদের দেশে জন্মেছিল অপরূপ নারীমুণ্ড- শঙ্খের মতন শুভ্র স্তন।