এখনও পেঁচার পাখা

এখনও পেঁচার পাখা অন্ধকারে ভাসে
শেষরাতে জ্যোৎস্না ম’রে যায়
মাঠের সোনালি খড় কালো হয়ে আসে
তারপর পেঁচা চ’লে যায়
ইঁদুর হারায়

আবার সোনালি হয়ে ওঠে খড়
শিশির রুপালি হয়ে ওঠে
আশা আসে- সাধ আসে
শুধু এক ইঁদুরের ঠোঁটে
ইঁদুরীর ঠোঁট আর নাই
তাহার ব্যথার শব্দ নাই

আমাদের ঘরে এই দু’টি ছিল
সারা রাত জ্যোৎস্নায় হিমে
শুনি নি কি করেছে যে খেলা
করেছে যে মৃত্যু অবহেলা- হায়!
তাই তারা উপেক্ষা জানায়

মৃত্যু আর বিরহ যে
জীবনের প্রধান দেবতা
ইঁদুর জানে নি তাহা
ইঁদুর জানে নি সেই কথা
জানিবে না কোনও দিন
জানে শুধু যারা এই ব্যথা মৃত্যুহীন

তারা শুধু ভালোবেসেছিল
জ্যোৎস্না ম’রে গেলে পরে তাই
তখনও সোনালি খড় চেয়েছিল
রুপালি শিশির আলো বিস্ময়ের ঠাঁই
চেয়েছিল- ভালোবাসা চায়;
মৃত্যু আর বিরহে হারায়

আবার সোনালি হয়ে ওঠে খড়…