ফাল্গুনের বিকেলবেলায়

যখন দৈবের কাছে বল চেয়ে ফাল্গুনের বিকেলবেলায়
একাকী পথের রেখা ধ’রে নিয়ে প্রাণ
মিনারে উন্নীত এক সাদা নগরীর
মৃত রমণীর মতো ধূসর সোপান
অনেক দূরের থেকে দেখেছিল
প্রতীতি নিজের মনে কাজ ক’রে চলেছে শিথিল
অনেক দূরের থেকে অল্প-শীত সারা বীথিকায়
শুনেছিল বিকেলের মাছিদের গান
বাতাস কী মনে ক’রে একটু ফেনিল
চ’লে গেলে পরে নীল আকাশের কাছে আশাশীল

তখন আমার প্রাণ আধো-ঘুমন্তের মতো জেগে
পথের ধবল রেখা চোখে ক’রে নিয়ে
জীবন ছড়াতে গিয়ে সবারই হৃদয়ে বাধে ব’লে
একটি চাতক-পাখি দেখা গেল বহু দিন পরে
আবার দ্বিতীয় বার নগরীর গম্বুজ, খিলান
দেখেছিল দূরত্বের চেয়ে আরও দূরত্বে দাঁড়িয়ে
প্রত্যাশায় অগ্রসর হতে গিয়ে মিছে- সেখানে কিছু না,
কী ক’রে শতাব্দী মৃত- তবুও জীবিত
কী ক’রে রয়েছ তুমি- তবু তুমি গিয়েছ হারিয়ে

ফাল্গুনের গোধূলির রৌদ্রে দৈব বল
নিজের সাহায্যে জেগে উঠে নিভে যায়
ফাল্গুনের সন্ধ্যাকাশে মক্ষিকার অনন্ত মির্মির
সবল মিনারগুলো বিকেলের মতন রঙের
ভিতরে ধাতুর ঘ্রাণ থেকে
নির্জন ধাতুর থেকে চেয়ে আছে পরিবেদনায়।