ফাল্গুনের কুয়াশায়

ফাল্গুনের কুয়াশায় দেখা গেল
খড়ের প্রান্তরে
হিজল-শাখার পিছে বড়ো চাঁদ দীর্ঘ কাল নড়ে

কোথাও ছিল না কেউ
তবু পৃথিবীর সব প্রীত
মাটির ভিতর থেকে যেন
তিনটি প্রবীণ প্রাণ হল উজ্জীবিত

তারা খড় গুছাতেছে- বহু ক্ষণ
শরীরের মাংস থেকে খ’সে গিয়ে ছায়ায় হারিয়ে
এইখানে- পৃথিবীর- আদি খেতে যেন প্রেম- পেঁচা
চাঁদে পৌছাতে পারে মাখনের পাখনা বাড়িয়ে

সোনালি খড়ের আঁটি বেঁধে যায়
দাঁড়ায়ে দেখে যাই সব
বহু ক্ষণ হরিতকী-কাণ্ডের আড়ালে
ইঁদারার মতন নীরব।

আজ নয়। এক দিন শুধাতাম যদি আমি ইহাদের
নাই কি সত্ত্বের চুক্তি রাষ্ট্রের কাছে
বলিল সম্পূর্ণ চাঁদ: “তরুরও সমাপ্ত হল কাজ।
তোমার মতন কেউ অসমাপ্ত আছে?”