ফসলের দিনে

কোনও এক প্রেমিকের তরে
তোমার অন্তরে
ভালোবাসা আছে;
কোনও এক প্রণয়ীর কাছে
এক দিন দেখেছি তোমারে
যে ভালোবেসেছে, কত ভালোবাসা দেখাতে সে পারে
জেনেছি সে-দিন।
তার পর, ফসল ঝরিয়া গেছে কত বার-
কত বার ঝ’রে গেছে তৃণ
মাটির উপরে
-তবু জানি, কোনও এক প্রেমিকের তরে
তোমার অন্তরে
ভালোবাসা আছে;
কোনও এক প্রণয়ীর কাছে
এক দিন দেখেছি তোমারে-
যে ভালোবেসেছে, কত ভালোবাসা দেখাতে সে পারে
জেনেছি সে-দিন।

যেতে হবে ব’লে
তুমি গেছ চ’লে
দূরে গেছ স’রে;-
যেতে হবে- তাই আমিও হাতখানা ধ’রে
তোমারে আনি নি ডেকে কাছে!
এক দিন, তবু- মনে আছে
-তুমি এসেছিলে;
আমারে বাস নি ভালো সেই দিনও, জানি আমি;
কিন্তু তুমি ভালোবেসেছিলে
তোমার ভিতরে যেই নারী আছে তারে,
জানিয়াছি- কত ভালো বাসিতে সে পারে।
আমারে বাস নি তুমি ভালো,
কিন্তু সেই নারী, আজও সে-ও কি ফুরালো-
তোমার অন্তরে।
প্রেমিকের তরে
যেই ভালোবাসা দিতে পারে শুধু প্রণয়িনী-
পাব না তা, কিন্তু এক মানুষীরে চিনি,
অকাজ-কাজের মাঝে- মানুষের পাশে
বার-বার আসে।
আমারে বাস নি তুমি ভালো
কিন্তু সে মানুষী আজও সে-ও কি হারালো।

এক দিন এসেছিলে নক্ষত্রের তলে,-
পৃথিবীর প্রণয়িনী যেই কথা বলে
প্রেমিকের কানে-কানে,- আকাশ একাকী
শোনে যাহা, বলেছিলে তা-কি
সেই রাত্রে- ঢুলে ঢুলে এসে!
জানি, তুমি ভালোবেসে
সেই দিন আস নাই,-
আজ তুমি চ’লে আস যদি,-
ভালোবাসা বুকে ল’য়ে আসিবে না, জানি আমি-
তবু এই পৃথিবীর নদী,
আর এই নক্ষত্র আকাশ,
অন্ধকার রাত্রির নিঃশ্বাস
চাহিছে তোমারে!
আমারে বাস নি ভালো, তবু আজ ফসলের ভারে
নতুন ধানের গন্ধে উঠিয়াছি ফ’লে
নবীন প্রণয়ী আমি,- পৃথিবীর কোলে!
চেয়ে আছি,- আসিবে কখন!
ঈশানের মেঘের মতন
আসিছে সময়!
-তাহারই গম্ভীর গান শুনি আমি,-
তোমার গানের শব্দ নয়!