ঘাসের বুকের থেকে

ঘাসের বুকের থেকে কবে আমি পেয়েছি যে আমার শরীর-
সবুজ ঘাসের থেকে; তাই রোদ ভালো লাগে- তাই নীলাকাশ
মৃদু ভিজে সকরুণ মনে হয়;- পথে-পথে তাই এই ঘাস
জলের মতন স্নিগ্ধ মনে হয়,- মৌমাছিদের যেন নীড়
এই ঘাস;- যত দূর যাই আমি আরও যত দূর পৃথিবীর
নরম পায়ের তলে যেন কত কুমারীর বুকের নিঃশ্বাস
কথা কয়- তাহাদের শান হাত খেলা করে- তাদের খোঁপায় এলো ফাঁস
খুলে যায়- ধূসর শাড়ির গন্ধে আসে তারা- অনেক নিবিড়

পুরোনো প্রাণের কথা কয়ে যায়- হৃদয়ের বেদনার কথা-
সান্ত্বনার নিভৃত নরম কথা- মাঠের চাঁদের গল্প করে-
আকাশের নক্ষত্রের কথা কয়;- শিশিরের শীত সরলতা
তাহাদের ভালো লাগে,- কুয়াশারে ভালো লাগে চোখের উপরে;
গরম বৃষ্টির ফোঁটা ভালো লাগে; শীত রাতে- পেঁচার নম্রতা;
ভালো লাগে এই যে অশ্বথ পাতা আমপাতা সারা-রাত ঝরে।