ঘাসের শরীর ছুঁয়ে

ঘাসের শরীর ছুঁয়ে কখনও বাতাস আসে মনের ভিতরে
ইশারার মতো শব্দে- এক দিন বন্ধুর মতন
নির্মল বাগর্থ নিয়ে এসে যেত- ইদানীং হেমন্তের বনে
আমিও নিজের অর্থ সৃষ্টি করি ব’লে তারা সব
আমাকে এড়ায়ে চ’লে যেতে চায় বাঙ্ময় নদীর
জলের উপর দিয়ে সূর্যের আগুনের দিকে
সময়ের সঙ্গে ঘুরে অবশেষে আমি এক দিন
আমার শরীর পেয়ে পৃথিবীতে নেমে
অনেক দেবতা দূত গন্ধর্বের কাছে
নোয়ায়ে রেখেছি মাথা। ডান বাম কানের ফারাকে
তাহার নিজেরই কাঁধে নিজ মাথা- কী ক’রে মানুষ
জেনে নেবে: চারি-দিকে মন্ত্রগুপ্তি সর্বদা যখনই
পরস্পরের সাথে কথা বলে ব্যক্তিগত মতো প্রতিভায়।
তখন শরের বনে নদীর ভিতরে জল ছাড়া
(স্বচ্ছলতা নিয়ে আলো বাতাসকে কারা চিনে নেবে)
স্বচ্ছলতা নিয়ে এই হেমন্তের বাতাসের সাথে
রাতের রূপার থেকে করতালি দিয়ে কারা দিনের সোনায়
দিনের ভিতর থেকে সাত জন রূপসির মতো শোরগোলে
উড়ে যাবে পাখি, নীড়, নক্ষত্রের রূপালি আগুনে।