ঘাসের শরীরে

কেউ-কেউ অনুভব করেছিল কৃমিকীট নিরন্তর মানুষের জানুকে জড়ায়
যতই হৃদয় তার অভিজ্ঞ প্রবীণ হয়ে পেকে ওঠে ক্রমে
তাই তারা নাড়িনক্ষত্রের চেয়ে মহত্তর অসংযমে
অবশেষে মিশে যেতে চেয়েছিল ঘাসের শরীরে

অথবা গল্পচ্ছলে বিশেষ দুরূহ সব রূপকের কথা ব’লে-ব’লে
অথবা বিক্লান্ত হয়ে বৃষ্টির বিন্দুর শব্দ শুনে
কিংবা কৃকলাসদের মতো চোখ বুজে নিমীল আগুনে
অবশেষে মিশে যেতে চেয়েছিল ঘাসের শরীরে

অধিক গভীর রাতে উদাসীন নগরীর পথে হেঁটে-হেঁটে
বারের ভিতরে ঢুকে জলের গেলাসে কাঁচ কামড়ায়ে খেয়ে
কিংবা অন্য কক্ষে ঢুকে হয়ে গিয়েছিল চারপেয়ে
অবশেষে মিশে যেতে চেয়েছিল ঘাসের শরীরে

সম্প্রীতি বিলায়ে দিতে গিয়ে তারা আবিষ্কার ক’রে গেল কালের লিঙ্গকে
যুক্তিও সবের শেষ উদরের কাছে সমর্থন
পেতে গিয়ে হয়ে থাকে পিণ্ডের মতন
সূচ হয়ে ঢুকে ফাল মূর্খ ঘাস খেল ছিঁড়ে-ছিঁড়ে।