ঘাসের উপরে শুয়ে এইখানে

ঘাসের উপরে শুয়ে এইখানে আকাশের দিকে চেয়ে টের পাই
দুই ধনু দূরে অই নদীর জলের কোনও তলদেশ নেই
নেই। নীলাভ আকাশ আর দু’-চারটা সাদা মেঘ
সে-সব জলের স্বচ্ছ স্থিরতায় নেমে
কোনও এক ঘুমে ঘোর স্বর্গের প্লুমেটের সাথে ধীরে
চ’লে যায় ঢের দূরে- ক্রমেই নিকটে তবু
র’য়ে যায়। প্রান্তরে জন্তুর মুখে সেই বিম্ব, সেই নির্জনতা:
মনে হয় জাদুঘরে পাথরের মুখে এসে পড়েছে অলীক আলো।
হাতের নিকটে ঘাস স্পষ্ট হয়ে;- তবুও হাওয়ার মতো শুন্য হয়ে যায়।
দু’-এক মুহূর্ত তবু। আপনাকে প্রকৃতিস্থ ক’রে নেয় নিরেট পৃথিবী, বায়ু,
সূর্য, মেঘ, মানুষের মন
অবাক পাথর হয়ে গিয়েছিল সময়ের কারুকার্যে ঘুরে
কোথাও সিন্ধুর পারে যেন তার সমুদ্রসারস
আবার বিহিত মানদণ্ড পেল সকলেই- পতঞ্জলি তার
বৃত্তি ফিরে পেল- কুকুর, অধ্যক্ষ, ক্বাথ- নিজেদের পরিমাপ
সাধারণ ধারণার মতো রৌদ্র প’ড়ে আছে প্রান্তরের গায়ে-
তবু শীত- তবুও গভীর শীত সকলের তরে
যেমন সকল মাংস খ’সে গেলে কঙ্কালেরা কাঁপে
নরকের বাথরুমে সারা-রাত চিনেবাসনের মতো ভেঙে।