ঘর

সারা-দিন রাস্তার ধোঁয়ায় আমার জীবনের ধূসরতাকে বুঝতে পেরেছি
বুঝেছি রূপ হারিয়ে গিয়েছে
রোমহর্ষ পথে-পথে মাড়িয়ে গিয়েছে
তারপর অনেক সময় কেটে যাচ্ছে
দরজা খুলে ঘরে ঢুকে মোম জ্বালাতেই
যেন কার নীলাম্বরি নীল সমুদ্রের চলকের মতো
বাতাসের ভিতর উথলে উঠল

এ কে?
এই দরিদ্র ব্যক্তিকে কে এমন বিলাসী ক’রে তুলেছে
এ-ঘরকে রানির মতো মনে হয় যেন
মনে হয় যেন আমি এক সুন্দর তরুণ কুমার
যার গায়ে পথের ঘ্রাণ সেই কুমারীর কক্ষে ঢুকে পড়েছি
কেশবতী কন্যার কক্ষে
অপার চুল দিয়ে যে তার কুঁচবরন রূপ ঢেকে রেখেছে
কে এ-কন্যা?
কার নীলাম্বরি কালীদহের তুফানের মতো বাতাসের ভিতর উছলে উঠছে
চৈত্রের রাত
চৈত্রের অন্ধকার: কেশবতী, কুঁচবরন পুরীর-কুমারী,- একাকী।