ঘোড়া

আমরা যাই নি ম’রে আজও- তবু কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়:
মহীনের ঘোড়াগুলো ঘাস খায় কার্তিকের জ্যোৎস্নার প্রান্তরে;
প্রস্তর-যুগের সব ঘোড়া যেন- এখনও ঘাসের লোভে চরে
পৃথিবীর কিমাকার ডাইনামোর ‘পরে।

আস্তাবলের ঘ্রাণ ভেসে আসে এক-ভিড় রাত্রির হাওয়ায়;
বিষণ্ন খড়ের শব্দ ঝ’রে পড়ে ইস্পাতের কলে;
চায়ের পেয়ালা ক’টা বেড়াল-ছানার মতো- ঘুমে-
ঘেয়ো কুকুরের অস্পষ্ট কবলে
হিম হয়ে ন’ড়ে গেল ও-পাশের পাইস্-রেস্তরাঁতে,
প্যারাফিন-লণ্ঠন নিভে গেল গোল আস্তাবলে।
সময়ের প্রশান্তির ফুঁয়ে;
এই সব ঘোড়াদের নিওলিথ-স্তব্ধতার জ্যোৎস্নাকে ছুঁয়ে।

চতুরঙ্গ। আষাঢ় ১৩৪৭