ঘুমায়ে পড়িব আমি

ঘুমায়ে পড়িব আমি একদিন তোমাদের নক্ষত্রের রাতে
শিয়রে বৈশাখ মেঘ- সাদা-সাদা যেন কড়ি-শঙ্খের পাহাড়
নদীর ওপার থেকে চেয়ে র’বে- কোনও এক শঙ্খবালিকার
ধূসর রূপের কথা মনে হবে- এই আম-জামের ছায়াতে
কবে যেন তারে আমি দেখিয়াছি- কবে যেন রাখিয়াছি হাতে
তার হাত- কবে যেন তারপর শ্মশান চিতায় তার হাড়
ঝ’রে গেছে, কবে যেন; এ-জনমে নয় যেন- এই পাড়াগাঁর
পথে তবু তিনশো বছর আগে হয়তো-বা- আমি তার সাথে

কাটায়েছি; পাঁচশো বছর আগে হয়তো-বা- সাতশো বছর
কেটে গেছে তারপর তোমাদের আম জাম কাঁঠালের দেশে;
ধান কাটা হয়ে গেলে মাঠে-মাঠে কত বার কুড়ালাম খড়,
বাঁধিলাম ঘর এই শ্যামা আর খঞ্জনার দেশ ভালোবেসে,
ভাসানের গান শুনে কত বার ঘর আর খড় গেল ভেসে,
মাথুরের পালা বেঁধে কত বার ফাঁকা হ’ল খড় আর ঘর।