গভীর আঁধার রাতে

গভীর আঁধার রাতে ছুটে যায় যেন সাদা পাখির জোয়ার
এক- দুই- অগণন তারা-
যেন মানবীর মতো মুখ- নির্ধারিত বৃত্ত ঘিরে চির-দিন দিতেছে পাহারা
হলুদ পাতার আর ভয় নাই যখন নিশীথে তারে খেয়ে ফেলে হিমের আঁধার

হলুদ পাতার আর ভয় নাই যখন নিশীথে তারে খেয়ে ফেলে ক্ষুধিত বাতাস
অনেক মনীষা ছিঁড়ে- রক্ত ঢেলে মৃন্ময়ীরা গড়িতেছে রাতি
ঢের নগ্ন শবাধার নিয়ে রোজ জাগিছে প্রভাতী
খরগোশ না লাফাতে আগুনের গুম্ফায় নাচিতেছে আরও দ্রুততর কৃকলাস

তাহাদের জঙ্ঘা যেন অবিরল ঘুরিতেছে দানবীয়তায়
বুঝি না ক’ তারা দেবী- তারা কি ঈশ্বরী
কেঁদে ওঠে আমাদের নিকেলের সমুজ্জ্বল ঘড়ি
মধ্যসমুদ্রের জলে কম্পাস কাঁদিয়া ওঠে- অনন্ত ব্যথায়

কাহাদের খোঁপা যেন উড়িতেছে ঝটিকার বায়ুর ঘূর্ণনে
সফেন সিন্ধুর শব্দ উচ্চারিছে স্তন
আমরা দমিত নই- আমরা দমিত নই.. হে অবদমন
ও হে মৃত, অর্ধমৃত পৃথিবীর, চ’লে এসো আমাদের পাণিনিপীড়নে

তাহাদের চোখ যেন ঝলিতেছে বিগলিত ইস্পাতের মতো লঘু নীল
আবার জমাট হয়ে হতেছে তুহিন
তাহাদের স্তন যেন গাঢ় সাদা মেঘমালভূমিদের মতো লক্ষ আকাশে উড্ডীন
দুই বাহু প্রসারিয়া তাহারা ফুরাতে আছে অনন্ত নিখিল

মিশে যায় ধুম্র প্যাগোডার চূড়া, পৃথিবীও যেখানে নিষ্ফল নিরুদ্দেশে
তাহাদের বৃত্ত যেন কেঁপে ওঠে- মরণনিবিড় সব কর্দমরক্তিম মৃত্তিকায়
সাদা ঘোটকীর ক্ষিপ্ত কেশরের মতো লক্ষ মোমের শিখায়
অনন্ত পরিধি ঘিরে- নীলিমায়- সরিষা’র মতো ক্ষুদ্র কেন্দ্রের আঁধারে ফিরে এসে

‘তোমাদের স্বপ্ন আর রবে না।’ মৃত্তিকার মতো দ্বৈমাতুর
কবরের শূন্য থেকে উঠে এসো নীরক্ত পাথর
কারা যেন নীলিমায় সহস্র অসির মতো বিঁধিতেছে কাতারে- কাতারে-
অভাবনীয়ের নাম দুন্দুভির মতো শব্দে ডাকিতেছে (সব শেষ) অনুসৃত দানবীয় সুর।

তাহাদের খোঁপা যেন উড়িতেছে ঝটিকার বায়ুর ঘূর্ণনে
সফেন সিন্ধুর শব্দ উচ্চারিছে স্তন
আমরা দমিত নই- আমরা দমিত নই… হে অবদমন
ও হে মৃত, অর্ধমৃত পৃথিবীর, চ’লে এসো আমাদের পাণিনিপীড়নে

তাহাদের চোখ যেন ঝলিতেছে বিগলিত ইস্পাতের মতো লঘু নীল
আবার জমাট হয়ে হতেছে তুহিন
তাহাদের স্তন যেন গাঢ় সাদা মেঘমালভূমিদের মতো লক্ষ আকাশে উড্ডীন
দুই বাহু প্ৰসারিয়া তাহারা ফুরাতে আছে অনন্ত নিখিল।