গভীর অন্ধকারের ভিতর থেকে

গভীর অন্ধকারের ভিতর থেকে বাণী এল
১৯২৮ সালে তার সঙ্গে কলেজে পড়েছ
নির্মল ব্যানার্জি আই.সি.এস.’এর সঙ্গে দেখা কর
ছেলেটিকে জৈমিনির আত্মা এই কথা বললে
ইহলোকে থেকে পরলোকের মীমাংসা করছিলেন
পরলোকে গিয়ে জীবন্ত মানুষের জীবনের গিঁট ধরেছেন
ছেলেটি নিজের ঘরের অন্ধকারে ব’সে শিক-কাবাব খাচ্ছিল
ভাবছিল বঙ্কিম ‘বন্দে-মাতরম’ গান লিখেছিলেন কী খেয়ে
শিক-কাবাব ফুরিয়ে যায়- কী খেয়ে-
১৯২৮ সালে… ইত্যাদি

হাকিম- আনন্দমঠ’এর ঋষি- আর এই ‘বন্দে-মাতরম’
জহরলাল হাসছেন না- বল্মীকে ঢুকে ভাবছেন-
ভাবছেন- ভাবছেন- ভাবছেন- নেমে আসেন
এক-এক জন মানুষ যেন ঈশ্বরের পকেটের থেকে জন্মায়
আগুন চাই: রবীন্দ্র-বঙ্কিমের নয়- দেশলাইয়ের- চুরুট চাই
‘তা হলে চাদর না হলেও শীতের রাত চালিয়ে দিতে পারবে’
মৃণালিনী সেন হেসে বললে
মৃণালিনী কবেকার আলেকজান্ড্রিয়ার লাইব্রেরির একটি মেয়ে
পৃথিবীর কোনও পথে আজ খুঁজে পাবে না তাকে
বত্রিশ বছরে গোঁফ পাকে?
গোঁফ কামালে কতগুলো পেঁচা উড়ে যাবে জীবনের ভিতর থেকে?
১৯২৮ সালে… ইত্যাদি

পুলিশ নেই- ডাস্টবিনের থেকে কুকুরে আর মানুষে খাবার খায়।
কলকাতার ফুটপাথের চামসে গন্ধে ভয় পেয়ে ট্রামগুলো পালাল এ-বার
খুদা-ই-খিদমদগর… জিন্দাবাদ… এক মুখ বাতাসের ঘোড়া
শিশিরের দেশের মানুষ তারা- নক্ষত্রের থেকে এসেছে- গান্ধি- জহরলাল- প্যান্ডাল
দাউ-দাউ রুপালি নক্ষত্রদের কলরব!
একটা চাদর পেলে ঐ কুষ্ঠরুগিটাকে দেব
আর এই ঝাঁকড়া শরীরটাকে দেব
পরিত্যক্ত রাস্তার ট্রাম-লাইনের সাপগুলোকে
সেই অদ্ভুত সহোদরাদের
গ্যাসের আলোর নিস্তব্ধতার ভিতর তারা চ’লে গিয়েছে
চিনে-পাড়ার রহস্যের ভিতর
বিবর্ণ অধোমুখ বিচূর্ণ প্যাগোডার নীরবতার দিকে
১৯২৮ সালে… ইত্যাদি

(করায়া রাস্তায় দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে)
সজীব দেহ চাই আর মুখের প্রতিভা- নইলে বেঁচে থাকার বোধ মানায় না-যে
সজীব দেহ চাই আর মুখের প্রতিভা- নইলে প্রেমের স্বপ্ন মানায় না-যে
সজীব দেহ চাই আর মুখের প্রতিভা- নইলে শুকিয়ে-শুকিয়ে মরা জ্যোতির্ময় নয়
সজীব দেহ চাই আর মুখের প্রতিভা- নইলে অন্ধকারে মৃত্যু, মৃত্যু নয়
শোভা-বাজারের রাস্তা হৃদয়ের জন্য
রাস্তার জন্য নয়
হৃদয়ের জন্য
রাস্তার জন্য
বিড়ির গন্ধ আর কুৎসিত হাসি হিঃ হিঃ হরিবোল!

আমার শব আমার পকেটেই আছে
তোমার পকেট থেকে তোমার শবকে এই আসন্ন পৃথিবীর ভিতর বার কোরো না এখন
শোভা-বাজারের রাস্তা হৃদয়ের জন্য
তোমার হৃদয় স্তব্ধ হোক- সমস্ত নগরকে কোনও এক বিবর্ণ অধোমুখ…
নীরবতার জায়গায় দাঁড় করাক
নক্ষত্রের ইশারা নিয়ে
অপর এক প্রয়াসের ভিতর জেগে উঠবার জন্য।