হে মহিলা

হে মহিলা, তুমি যেন কোনও মধ্যসমুদ্রেরও ঝড়ে
আমাদের দিনগুলো বিখণ্ডিত ক’রে তুলাদণ্ডে মাপ ক’রে নিতে চাও
ভগ্ন জাহাজের ফাঁক দিয়ে কী জিনিস ঝ’রে গেল- কোন হাঁড়িকুড়ি গেল ভেসে
কোন নেকলেস- কয় ভরি স্বর্ণরেণু দিয়ে গড়া
ডুবে গেল নীল সমুদ্রের ভিড়ে- হাঙরের পেটে নিরুদ্দেশে
তুমি তার ক্যাটেলগ নিয়ে তোমার মুখের ত্রিযুগপ্রদীপও ম্লান ক’রে ফেল
এত কি আকাঙ্ক্ষা সাজে দ্রুত গতিময় সন্দিহান নক্ষত্রের নিচে ব’সে আমাদের?
কোথাও নির্জন স্বর্ণ স্বর্ণমূর্তি রয়ে গেছে সূর্যহীন রুদ্ধ গহ্বরের
পিপাসিত মরুভূর গবলিন রং রক্ত জ্বেলে কোনও দিন যারে পায় না ক’ তারে
অসাড় হৃদয়ের কাছে, জানো তুমি- রুটিনের অসুস্থ আঁধারে
অভাবী উদ্দেশের মতো- স্থির- আঙুল জাগিয়া ওঠে তার
তোমারে জানায় তার সময়ের ঘড়িহীন আশ্চর্য ওষ্ঠের ব্যবহার
বাসনার ক্যাটেলগ, হে রূপসি, যেন কোনও পৌর পুরুষের বাগানের ছায়াবাজি, শ্লথ প্রজাপতি
তাহার ডানার থেকে যে-হলুদ রেণুরাশি ঝ’রে পড়ে- তেমনই তাহার অব্যাহতি
সময়ের দূত তাহা কুলোর বাতাসে ঝেড়ে ফেলে দেয় মৃত্যুর নদীর জলে- দূরে
তালবীথিকার নিচে অভিজ্ঞ কুকুর’ও সে-ও হেসে খুন সেই সব ওড়াউড়ি দেখে
এসো, মোরা দীপকে জ্বালিয়ে দিই হৃদয়ের কবরের অন্ধকার থেকে।