হে অনাদি প্রেম

পৃথিবীর কোথাও প্রেম পেলাম না যখন
তখন ঈশ্বর নিজে নেমে এল
পৃথিবীর অপরিজ্ঞাত কোনও এক স্থির অসামাজিক সমুদ্রের কিনারে
পৃথিবীর অমেয় এক গাঢ় রাত্রির পরিস্ফুট সমুদ্রের কিনারে
এক দীর্ঘ নারীর রূপে
পশ্চিম আকাশের গোলাপ
পৃথিবীর নদীতে কখন নিভে গিয়ে
সুনীতিশায়ী সম্পাদকের টেবিলের কালি হয়ে গেছে
আর পৃথিবীর পুরোহিতদের অগোচরে এই নিষিদ্ধ ফুল ফুটল
শেয়াল-মানুষ মহিষ-মানুষেরা ঘুমিয়েছে সব;
পৃথিবীর পবিত্র অগ্রসর এখন স্থগিত।

হে অনাদি কল্পনা, হে অনাদি প্রেম,
তুমি আমার জন্য অবৈধ নারীর রূপ ধরলে:
তোমার রূপের দিকে তাকিয়ে জেগে ওঠে হৃদয়ের ভিতর
লাল নীল কাচের জানালা, হাতির দাঁতের মূর্তিকে আলোকিত ক’রে
সোনার ডিমের মতো চাঁদ
উঁচু-উঁচু প্যাগোডার মতো নিস্তব্ধ নদী।
মেহগিনিবীথির জাফরিকাটা ছায়ার ভিতর
জ্যোৎস্না কি কখনও ফুরায়, বিধাতা?
প্রণয় কি স্থবির হয় কখনও? প্রেম কি শুয়ারের মাংস
হয়ে যায় কোনও দিন?
হে অনাদি কল্পনা, হে অনাদি প্রেম!