হে হৃদয়

হে হৃদয়, নীড় থেকে ঢের দূরে ধরা প’ড়ে গেছ
বিকেলে আলোর রঙ নিজ মনে কাজ ক’রে পাখিকে না ব’লে
ছায়ায় অঘ্রান মাঠ ঢেকে ফেলে চমকায়ে দিল
কেউ নেই- শূন্যাকাশ পটসঙ্গিনীর মতো হ’লে
তার কাছে বলা যেত: আমি ডানা-পালকের প্যাঁকাটির মতো হরিয়াল
কাউকে না পেয়ে একা চারি-দিকে উপচানো রাত্রির মুফতে
ধাঁধাঁর ভিতর দিয়ে ঠাণ্ডা ঘুম মরণের ঢেউয়ে
প্রেমের সূর্যকে কোনও মতে
জাগায়ে জ্বালায়ে আমি উড়ে যাই ডিসেম্বর রাতে-

এই সব ভোরভাষা নীচের নগর হ্রদ বস্তি মৃত্যুকে
দান ক’রে বাতাসের ঘুরন চাকির আগে পাখি
টের পায় জীবনের ভিতরের অনুভূতিটিকে
কেলিরও চেয়ে সে ভালো অন্য এক আনন্দসাগর
সে দিকে যাবার পথে চোখ তার ভর্ৎসনা বেদনা ভয় দোষ থেকে মুক্তির মতন
আকাশ নদীর জল শ্মশান এয়ারোড্রোম ঝাউয়ের সাগরে
হঠাৎ সকলই সূর্য- নিজেও সে সূর্য এক জন।