হেমন্তের নদীর পারে

মাঝে-মাঝে মনে হয়
হেমন্তসন্ধ্যায় এই বৃক্ষদের মুখ দেখে
আবছায়া নদীর দর্পণে:
যে-বিতর্ক লোপ পায় বালিকার মেধে
অথবা যুবার চিত্তে অকালজটীর মতো আশ্চর্য নির্বেদে
কিংবা যোদ্ধাদের প্রাণে সারা-দিন বায়ু-কুকুরের মতো ঘুরে-
তবু মানুষের সাথে শুক্ল পরিচয় চেয়ে নিশীথের ভূমিকায়
সেইসব চিন্তা এসে পিতাদের হৃদয়ে দাঁড়ায়।

[প্রবন্ধ-পত্রিকা। মাঘ ১৩৬৮]