হেমন্তের স্তব্ধতায়

হেমন্তের স্তব্ধতায় নিঃসহায় ঢের ঈশ্বরের
বাতাসের রোল শুনি- নিরীশ্বর অনেক শ্লোগান
জেগে ওঠে;- নিজের রাজত্ব তবু কোনোদিকে কারও
নেই- সকলেই সকলকে কর দিতে অপ্রস্তুত
সকলের নিকটে রাজস্ব আদায় করে নিতে গিয়ে সবই
ঈষৎ সভয়ে ভয়ে অন্ধকারে ক্লীবের মতন

এখন সকলই এক আবছায়া- অসংবলিত
গোধুলির সন্ধিস্থলে ভোরের মতন এক বিকেলের মতো
চকিতে ক্বচিৎ আশা জাগায়ে অতল
হতাশার কলরোল- শস্যকে সোনার মতো পবিত্র কঠিন
মনে করে সেই সব শান্ত লোক ফসলের মর্মস্পর্শিতায়
একান্ত ব্যহত ছিল প্রকৃতি ও মানুষের মিল
সংশোধিত হয়ে গেলে কোথাও তৃতীয় কেউ নেই
গরমিল সৃষ্টি করে অমলিন ফসলের হাতে তার নিজ ভনিতাকে
নষ্ট ক’রে দিয়ে যাবে- মনে ভেবে এই পৃথিবীর
সে সব নির্দোষ পিতাপূর্বজেরা ক্ষেত বুনে গেছে
আকাশের মেঘ নিলীমার দিকে পৃথিবীর প্রবীণ পাথর
রৌদ্রের স্পর্শের দিকে চেয়ে থেকে- জীবনকে তবু
আধো চিনে- বড়ো জোর বর্গাদার সামন্ততন্ত্রীর
উত্তমর্ণদের মুখ সেই কর্ণওয়ালিসের যুগ থেকে।