হিসেব বুঝায়ে দিতে গিয়ে

হিসেব বুঝায়ে দিতে গিয়ে কানাকড়ি
আধটা ধরা প’ড়ে যায় তবু এখানে সেখানে- জীবনের
অন্তঃসার নিখাদ সোনার মতো হয় যদি-ইতিহাস তবে
কালো নিকষের মতন আধারে সেই আভা
অতীতে ফুটায়ে গেছে বার বার- তবু তারপর
ভবিষ্যৎ চ’লে আসে নিকষের প্রতীকও উপমা ফুরায়ে
অন্য কোনও রূপকের সুবাতাসে- নতুন সকালে
প্রীত হ’য়ে- প্রীত করে- অনায়াসে নিজেকে চেনাতে
অন্তহীন মুদ্রাদোষ ভেঙে ফেলে রীতি সেইখানে
নিজ শূন্য সিংহাসন অধিকার ক’রে নিতে আসে
রীতিকে সরায়ে দিয়ে কোনও ত্রস্ত বিদ্যুৎ-উজ্জ্বল
মুখের তৃতীয় ছায়া নেই- তবু সর্বদাই সহনীয় স্বাভাবিকতার
নিকটে মলিন হ’য়ে প্রীতির সাম্রাজ্য-স্বপ্ন-আলেয়া সকল
সপ্তক রশ্মির মতো শুভ্রতর সূর্যের নিকটে
সেই দেশে; অতীত ও অনাগত বিশাল আলোয়
মিশে গেছে- যে যার নিজের স্পষ্ট জীবনের কাছে
সত্য হ’য়ে- আমাদের সত্য হ’তে দিয়ে।