হঠাৎ শীতের রাতে

হঠাৎ শীতের রাতে শব্দ শুনি বন্দুকের
শিকারীর কোলাহল; তারপর স্তব্ধ সব।
জ্যোৎস্না-রাত সুন্দরীর মৃত শরীরের মতো প’ড়ে থাকে
ঘুঘুরা ডাকে না আর; জলডাহুকের শব্দ থেমে গেছে
ঘাসের ভিতরে কীট; সে-ও যেন বুঝিতেছে-
আরও দূর নির্জনে লুকায়
মৃত্যুরে সবাই চেনে- তাহারে এড়াতে চায়- কোথায় পালাবে তবু
এই সৃষ্টি ঢের বড়ো; তবুও কোথায় মৃত্যু নাই?
বিয়োগ বিরহ নাই আর?
তুমি শুয়ে আছ- ঘুমায়েছ; তোমারে কি ভালোবাসি?
হয়তো বাসি না ভালো
হয়তো জীবনে আমি কোনও দিন প্রেম জানি নাই
তবু আমি বিয়োগের ব্যথা বুঝি;- এই শান্ত ঘরের আস্বাদ
তোমার চুলের ঘ্রাণ- আগুনের পাড়- প্রাণ- গল্প- জীবনের এই সব উষ্ণতাকে ছেড়ে
বাহিরের শীতের রাতে মৃত হয়ে র’ব আমি? কেন র’ব? কেন তুমি চ’লে যাবে?
ঘুঘু শুধু ম’রে গেছে
আজ এই হিমে
রাতে
পৃথিবীর অনিচ্ছার মাঝে,
আমরা দু’ জন তবু বেঁচে আছি
এই সত্য শান্তি আনে- তৃপ্তি আনে চুপে
শীতের সুদীর্ঘ জ্যোৎস্না ভ’রে পাশাপাশি শুয়ে থাকি।