হয় নি কোনও কথা

হয়তো তোমার সাথে আমার হয় নি কোনও কথা কোনও দিন
যারা ভাবে এ-রকম দিনগত ভাবে অপেক্ষায়
ডিমের কুসুম আর ধূসর অংশের মতো মিশে
নেই ব’লে কখনও প্রণয়- প্রেম- নয়
তারা এই জীবনের ডিম চিনে
প্যারাডিম- সে-সব ফুটায়ে ফেলে খায় তারা রোজ
হয়তো প্রেমের ‘পরে অতিরিক্ত মমতাবশত
হৃদয়ের ভোরবেলা থেকে তুমি সর্বদাই এক মাইল আকাশ ফুরালে
দুপুরে ঘামের জলে ক্রেয়নের রেখার মতন
মুছে যেতে দেখেছি ছবিকে
ঘুমন্ত চিত্রীর ঘামে ভিজে তার ক্রেয়নের রেখা
সূচনায় শেষ ক’রে দিয়েছে ছবিকে
তাহার অণুমাইলের মতো
ছড়ায়ে-ছড়ায়ে তবু এক দিন দুপুরবেলায়
ফাঁস হয়ে গেলে কোন দিকে
দুপুরে ঘামের জল ঝেড়ে ফেলে (পালকের) রঙের সপ্তক
মুছে আমি নিভে যেতে দেখেছি পাখিকে।
চারি-দিকে পৃথিবীর ছোট-বড়ো পাহাড়ের চূড়া
সমান উচ্চতা নিয়ে দাঁড়ায়েছে- নদীদের বিভিন্ন শরীর
একটি নদীর মতো- ইতিহাসে বিভিন্ন সময়
এক সময়ের মতো স্থির
বাহিরের ব্যাপ্তি নিয়ে সমস্ত আকাশ
যে যাহার বাইরের ব্যাপ্তি নিয়ে- তবু
হয়ে আছে অতীব নীরব নিজ ঘরে
কেন-না দ্বিতীয় ব্যক্তি-রূপে যেই নারী রয়েছিল
সে আজ কোথাও নেই (ব’লে তারা) অনুভব করে।

দুপুরবেলার ঘণ্টা বেজে যায় উদ্বিগ্ন নগরে (এই ব’লে:)
সর্বদা আবহমান একই অসময়ে রয়ে গেছে,
বিংশ শতকের রোদে তোমার শরীর
এয়োদশ শতকের ত্রিপোলির বাজারে দেখেছি
এমন নির্বৃত্ত ভাবে দেশ এসে সময়ের সাথে
মিশে গিয়ে ব’লে যায়: যখন পেয়েছ তুমি তার পরিচয়
বিগবেন বেজে যেতে পারে আজ বার-বার- তবু
তোমার আর-এক প্রেম নিয়ে এল অপর সময়

যেন কেউ দৈববাণী ক’রে গেল- তবুও তা দৈববাণী নয়
তবু তাকে সুধালাম: পুরূরবা, অর্ফিয়ুস, প্যান, হোল্ডারলিন
আজ আর নেই জেনে সেই নারী নিজের বা অন্য প্রেমিকের
স্বর্গের বা নরকের বিবেচনাধীন?
তবুও কোথাও কেউ নেই; দেখি নগরীতে সকলেই আছে
যাকে আমি ছুঁয়ে যাই সাধারণ স্বাদ পাই তার কাছ থেকে
(ঢের দূরে রেখে গেল) তোমাকে অপর পথে তবে, দিওতিমা,
অনন্য ভ্রান্তির বশে আমিই দিয়েছি- তবু- রেখে?

হোল্ডারলিন ম’রে গেছে রাত্রি শেষ ক’রে
প্রেয়সী অনেক আগে মৃত
কেবল তুমি ও আমি সামান্য ভূমিকা নিয়ে সারা-দিন পরিচিত হয়ে
অনুভব করি সব আগাগোড়া কপোলকল্পিত।