হয়তো অধিক দিন

হয়তো অধিক দিন সে-রকম উপত্যকায়
এমন অনড় ভাবে- অন্ধকারে- ব’সে থাকা যায়
সেখানে তোমার হাতে অন্য কোনও সময়ের ঘড়ি
নেই আর;- মানুষীর থুতমিতে যে নিটোল কড়ি
মৃত্যুর ও-পারে গিয়ে অধিক প্রস্তুত হয়ে থাকে
কঠিন দ্রব্যের মতো অন্ধকার হাওয়ার বিপাকে
নিজেকে সে নীড় ব’লে টের পায়- তবু কার নীড়
কোথায় রয়েছে ঘড়ি- কোথায়-বা দ্বিতীয় শরীর
যেন তুমি ঘুম হতে জেগে উঠে দেখেছ সহসা
রমণীয় বিছানায় নেই কোনও পিসু, মাছি, মশা
নেই আর- যদিও তা আকাঙ্ক্ষিত তোমার শরীরে
শেষ দংশনের মতো আজও ক্রমে ধীরে- ধীরে
মুছে যেতে চেয়ে- থেমে- আধো-পথে- তবু পুনরায়
পৃথিবীর পরিমিত উদযাপন চায়
একটি মশাও তবু তোমার অপরিমিত বিছানায়
নেই আজ- ত্রিকোণাকার, তীক্ষ্ণ গাধাদের কান
এখন সেখানে গেলে পেয়ে যেত রাজার সম্মান
তুমি চাও; তবুও নেই ক’ সঙ্কুলান
তোমার ব্যাপ্তির দেশে- অত্যন্ত ব্যাপ্তির দেশে সেই
সেখানে তোমার হাত জানুর উপরে লেগে আছে
পৃথিবীর কোনও এক কামাতুর শিল্পীর কাছে
তুমি আজ এই ছবি। শকট নিজেকে দ্রুত করে
রাত্রিযোগে কোনও এক বিদ্যুতের গাড়ির ভিতরে
ব’সে আছ। অনেক চিরুনি ঘ’ষে হৃদয়ের ভুলে
এক দিন এ-বিদ্যুৎ কোনও এক মানুষীর চুলে
দেখা দিয়েছিল এই পৃথিবীর দ্রুত আরশিতে
তবুও ব্রহ্মাণ্ড এই গোলাকার জেনে
অন্য এক বাঁকে গিয়ে আবার আমাকে দেখা দিতে।