ইঁদুরের মতো যারা

শিহরইঁদুরের মতো যারা এক দিন ভয়ানক বৈদ্যুতিক ছিল এই পৃথিবীতে
তবুও লাক্ষাতে গিয়ে জালের ভিতরে ধরা প’ড়ে গেল যুক্তিহীন দাঁত খিঁচুনিতে
আর যারা জন্মিবে না কোনও দিন- (কোনও দিন- কোনও দিন-)
চায়ের ফ্লেভার-ভরা অপরূপ মিষ্টি এই প্রভাতের পৃথিবীর ঋণ
সলাঙ্গুলে স্থূল তর্কে খাঁচার ভিতরে ঘুরে শুধে গেছে ক্ষমতাবিহীন
তাহাদের আত্মা যেন উল্লসিছে, হে নাবিক, হে নাবিক, দূর মধ্যসমুদ্রের,
তোমাদের জাহাজের গুনচটে- সারা-রাত

তাহাদের বুদ্ধি আজও এলোমেলো- অর্থহীন উৎকেন্দ্র আঘাত
নিশীথের ঝোড়ো বাতাসের যেন উচ্ছৃঙ্খল তাঁত
বুনিতেছে;
হো-হো হেসে সারা-রাত চেঁচাতেছে
‘এইখানে যাযাবর বাতাসের স্তরে
মন যেন ভিজে ওঠে আমাদের হৃদয়ের অপরূপ সজ্জনতা জেনে
বিষুবরেখার পাশে অন্ধকার রজনীতে প্যাকাটির মতো কণ্ঠে কম্ফার্টার টেনে
আমরা গভীর সৎ’
‘আর এক বার এই পৃথিবীতে জন্ম নিয়ে শেখা যেত যদি প্রজনন
পাওয়া যেত চায়ের পেয়ালা- রৌদ্র- অবসর- মনীষীর বইগুলো- সিগারেট-টিন-
অটোগ্রাফ- স্ন্যাপশট- মানুষের সচ্ছলতা কীর্তির শেষ স্তম্ভ দেখিবার মতো দূরবিন
তা হলে আবার তুমি পৃথিবীতে ফিরে এসে হতে কি নবীন?’

বাজিছে বাজনা যেন বাতাসে উড্ডীন ছিন্ন বেলুনের মতো ম্লান পাঞ্জাবিতে কার:
মেথর মিস্ত্রি মুচি কামার ছুতার?
এই সব ডিম্ব তার;- সে এক বিষন্ন পক্ষীমাতা
বই প’ড়ে কথা ভেবে- ঘুরে-ঘুরে
পৃথিবীর মধ্যবিত্ত দণ্ড দিয়ে বহু দিন ঘুরায়েছে জীবনের জাঁতা

জাহাজের গুনচটে বরং সে হবে অন্ধকার
বিষুবরেখার পাশে কম্ফার্টার টেনে নিয়ে রজনীর বাতাসের সমস্বর হবে
যত দিন পৃথিবীতে সমুদ্রের তীর, রৌদ্র, টুরিস্টের ভিড় জেগে র’বে।