যেই বই পাবে না ক’ দার্শনিক

যেই বই পাবে না ক’ দার্শনিক কোনও দিন এই পৃথিবীতে
গভীর মনীষা নিয়ে;- অনেক সহিষ্ণু মোম জ্বেলে আমি নিরন্ন নিশীথে
পৃথিবীর গ্রন্থশালা খুঁজে গেছি- উজ্জয়িনী গ্রীস আলেকজান্দ্রিয়ায় গিয়ে
বাঁকা চাঁদ জলপাই-পল্লবের অন্ধকার জলপথ দিয়ে
শার্সিতে হেসে গেছে মৃত এক পরাজিত নারীর মতন
তাহার শবের ছবি ঝ’রে গেছে- স্বাভাবিক- কোনও সংঘটন
আনে নি ক’;- তার পর অকস্মাৎ আজ অই পুবের আকাশে
সূর্য এল- যেন কোনও মহীয়ান সম্রাটের প্রান্তরের ঘাসে
রৌদ্র শুধু- নিস্তব্ধতা- পাশে তার সমুদ্রের নীলাভ ক্রন্দন
কানের পটহে এসে করে না ক’ যেন কোনও ধ্বনি নিঃসরণ
মোমের সকল আলো পুড়ে যেন মোহনীয় আননের বিভা
দেখিতেছে;- সব বই ধ্বংস হয়ে জ্বালায়েছে গোলাপি প্রতিভা
প্রত্যুষের;- ও গো পাখি, স্বর্ণ-পাখি, কোন অবন্তীতে তুমি ছিলে
তোমারে খুঁজেছি আমি কত দিন- আজ অই সমুদ্রের হলুদ সলিলে
মেঘের কমলা রঙে- নতুন আকাশ তুমি বানায়েছ এশিয়ার প্রান্তরের মতো
সীমাহীন- শব্দহীন- কোটি-কোটি নীলগাই, ঘাস আর রৌদ্রে অব্যাহত।