যেই সব ভোর

আমাদের পৃথিবীর বশে থেকে যেই সব ভোর
এক দিন চিনে গিয়েছিলে তুমি- সে-সবের থেকে
আজ এই সকালের কোথাও প্রভেদ নেই- সে-রকম ঘাসের উপরে
পাতাগুলো উড়ে এসে শুয়ে থাকে- হরিতকী গাছে
নদীর ভিতরে মুখ দেখে।

যদি তুমি জেগে উঠে দেখে যেতে সব
বুঝে যেতে পুরাতন তাৎপর্যের মতন নীরব
এ-সব নতুন দিন- নির্দিষ্ট তারিখে
ধরা দিয়ে অন্য এক নক্ষত্রের সময়ের দিকে
চ’লে গিয়ে পুনরায় পৃথিবীর ভোরে ফিরে আসে

যত দূর ভূমিজ রেখার দিকে চেয়ে থাকি আমি
(যত দূর) জীবনের দিকে চেয়ে থাকি
সকলই মহানুভব গোলাকার রূপ নিয়ে আসে
সময়ের জননীর মতো তাকে মনে ক’রে এক রত্তি কেন্দ্রের সকাশে
আমি সেই বিজন জনের বুক ছুঁতে গিয়ে অনুভব করি
অতীব সহজ হয়ে তবুও সে অতিশয় প্রবল ধুনুরি
সাদা সাধারণ স্পর্শে মূল্যবান জিনিসকে যে-রকম নিয়ে যায় চোর
আমার চোখের থেকে উবে গিয়ে আলোর ফিকিরে
তেমনই কোথাও তুমি রয়েছ বিভোর।