জেলেনি

কোনও এক অবহিত নগরীর পারে গিয়ে চার-কোনা বাজারের পাশে
নিরাকুল জেলেনিকে অবারিত দেখা গেল ভোরের বাতাসে
বিষয়ের স্তূপ নিয়ে, ত্রস্ত হয়ে সূর্যের মতন
ধীরে-ধীরে সে-ও যেন করেছে শব্দহীন সংশ্লেষণ
চঞ্চল চুমকির মতো অনেক অজস্র মাছ আছে তাকে ঘিরে
বৃহৎ মাছের মতো রয়েছে সে অনন্য আমিষ শরীরে
নিজের অজ্ঞাতসারে বসেছে সে ইহাদের সকলের রৌদ্রময়ী জননীর মতো
প্রতিটি নীরব মাছ জানে তাহা- ভাইবোনদের গায়ে শুয়ে ইতস্তত
এখানে নির্ঝর তারা সৃষ্টি করে- রৌদ্রের ভিতরে
মিছেই খুঁজেছি আমি সূর্যালোকে পৃথিবীর পথে
এই জল- কেউ না ছুঁতেই নীল হাওয়ার আবেগে
এরা তবে সর্বদাই ঘুম থেকে জেগে
আবার ঘুমায়ে পড়ে এই সূর্যে- অন্য এক সূর্যের ভিতর
পৃথিবীর নদী সব বহু দিন ষড়যন্ত্র ক’রে পরস্পর
গিয়েছে মলিন হয়ে- সর্বদাই গরিমায় আপনার সীমা
পরিমাপ ক’রে নিয়ে কুয়াশার মতন নীলিমা
হয়ে গেছে মানুষের বিমোহিত হৃদয়ের মল
চারি-দিকে ক্লান্ত হাওয়া- ভীত অগ্নি- ব্যবহৃত জল
নিজেদের পরিণামদর্শিতায় দীপ্ত হয়ে চ’লে গেলে পরে
অন্য এক আলোকের মতো সাদা মৃত্যুর ভিতরে
প্রতিটি প্রেমিক মাছ চেয়ে থেকে দেখেছে ফলত
মৃত্যু ও মৃতের স্পষ্ট দেহ তপতীর নির্ঝরের মতো।