জীবনের যতদিন কেটে গেছে

জীবনের যতদিন কেটে গেছে অন্ধকারে একবার তাহাদের স্মৃতি
ভাসিয়া উঠিল মনে;- তখন শীতের রাত, গাছের শাখা থেকে ঝরে
শিশির- হলুদ পাতা;- মরণের গন্ধে এই পৃথিবীর নদী মাঠ ভরে,
হৃদয়ের মাঝখানে শূন্য এক গহ্বরের মতন বিকৃতি
জেগে থাকে;- অন্ধকারে প’ড়ে থেকে একাকী শিশুর মতো বুকে জাগে ভীতি!
আমার যে দিনরাত্রি ফুরায়েছে একবার তাহাদের কথা মনে পড়ে;
প্রেম ল’য়ে যে এসেছে একদিন, তারপর চ’লে গেছে- আমি তার তরে
একবার চোখ মেলে চেয়ে দেখি চারিদিকে,- আকাশের নক্ষত্রসমিতি

হারিয়ে গিয়েছে কোথা?- চেয়ে দেখি কোনও দিকে কেউ নাই, কিছু নাই আর!
তোমার পায়ের শব্দ কখন থামিয়া গেল চোখ বুজে একবার তাই
ভেবে দেখি,- চোখ মেলে জেগে দেখি আকাশের বুকে আরও জমেছে আঁধার!
নিঃসাড় মাঠের পর আড়ষ্ট নদীর পর কিছু নাই,- কেউ আর নাই!
মরণের হাতে তাই অবসন্ন হয়ে আমি হাত তুলে দিলাম আমার,
চেয়ে দেখি প্রেম তুমি পাশে এসে দাঁড়ায়েছ; মৃত্যু দ’হে হয়ে গেছে ছাই!