জীবনের ক্ষুদ্রতর ইতিহাস

আমি এই জীবনের ক্ষুদ্রতর ইতিহাস লিখে যাই তবে
এক দিন নিসর্গকে ভালো লেগেছিল ভোরে- শিশিরের পথে
নগরীর সুদীর্ঘ রাস্তাগুলো- খানিকটা নির্জন শরতে
কী ক’রে জানালাগুলো স্পর্শ করে- অনুভব করেছি নীরবে

মৃত চোল উজ্জয়িনী বিদিশা’র মহেঞ্জোদড়োর
ভোরবেলা আমাদের ছিপছিপে লম্বা বুলভার
সেই সব অতিমৃত্যু জয় ক’রে ফেলে
আবার উঠেছে জেগে লন্ডন কলকাতা রোম বার্লিন’এ

দু’-চারটে উঁচু গাছ- মেহগিনি- অশ্বত্থ- অশোক সব রাস্তার ভিতরে
মানুষকে ঝেড়ে ফেলে এ-সময় সূর্যের হৃদয় থেকে ধীরে-
পাখি ও জন্তুর মতো- পৃথিবীর মানুষের মুখে
সর্বদাই সাপিনি ও ময়ূর’কে দেখা যায়।

আমার হাড়ের দিকে কোনও এক স্ফিংকস চেয়ে আছে
শালের চিত্রণা নিয়ে চিতাবাঘ: ধূসর গাধাকে
অনুভব ক’রে দেখে- বাঘের হলুদ চোখ শয্যার ধবল শল্ক থেকে
উঠে এসে- ত্রিবিস্তার জীবনের কপট হেঁয়ালি

ঊর্ণনাভের হাতে তুলে দেয়। তাহার জীবন
সমতল ভূমির উপরে প্রিয় সরল-রেখার মতো বেগে
চ’লে গেছে হয়তো-বা অনন্তের দিকে
কিছুই ন্যূব্জ নয়- সূর্য নিয়ে সমুজ্জ্বল রাইন, সীন, লিফি, গঙ্গা, শোন।