জীবনের অদ্ভুত অর্ধেক দিন

– জীবনের অদ্ভুত অর্ধেক দিন কেটে গেছে
বাকি যা রয়েছে হয়তো-বা কোনও উঁচু ছাদে চ’ড়ে- দূরবিন নিয়ে
নক্ষত্রের মুখ দেখে কেটে যাবে- কিন্তু এই আধুনিক পৃথিবীর সব-শেষ জ্যোতিষের বই
যাদের কলম থেকে বার হয়
নক্ষত্রের কাছে তাহাদের উৎসৃষ্ট প্রতিভা
বন্দরের পথে ঘুরিতে-ঘুরিতে
কোনও এক অন্ধকার ইঁদারার গর্ভে প’ড়ে যাবে না তো?

– অসম্ভব নয়।
ইঁদারারা শুষ্ক থাকে যেন
নিচে ঢের নীরস লিচুর পাতা জমা হয়ে আছে
মনীষীর শেষ রাত্রে- জীবনের উপসংহারের রাতে
মখমল-বিছানার মতো তারা ক্লান্ত মাথাটাকে শান্তি দেবে।

– ঠিক;- শান্তিই সে পায় নাই কোনও দিন
যদিও রাস্তায় হেঁটে যুবা ইয়ারেরা উপহাস ক’রে গেছে তাকে
নগরীর নির্দীপ শিয়রে বুম-বুম বুম-বুম করিতেছে এরোপ্লেন
তবু ঐ বুড়ো থুতমিটাকে দেখ
কবেকার পলাশির যুদ্ধে মৃত রেশমি জামার
ভ্রষ্ট দু’টো বোতামের মতো চোখ তুলে
আকাশের হিম কুয়াশার দিকে চেয়ে আছে।

– তবু নিন্দা নয়- ব্যাজস্তুতি-
আজিকার যুবকেরা সব জানে- সব শেষ- সব শেষ কথা জানে।