যদিও দেবতা

যদিও দেবতা ম’রে হাল ছেড়ে গেছে
শোধিত হয় নি আজও পিতাদের ঋণ
তবুও আবার নারী: সেন, রায়, শতরোজি, মিঙ্
জেগে ওঠে পৃথিবীর পুরুষের সাথে রফিক, মোমিন
ক্রমেই অধিক প্রেমিক সমীচীন;
তবুও এ-পৃথিবী আজও প্রেম-পাপের ফসিল;
পাখির ডানায় জ্বলে নিবিড় সাটিন
প্রতিটি আসন্ন ভোরে জলসিড়ি নদী
চোখের জলের চেয়ে কিছু সমীচীন।

আলোর প্রান্তরে কাশফুল লক্ষ মাইল দূরে।
কুটুম্বিনীর মতো এক-তিল দূর থেকে হাসে
আকাশ ছড়ায়ে আছে নীল হয়ে আকাশে-আকাশে
এই কি নির্জন যুগ মৃত পৃথিবীর
অথবা মেধাবী যুগ ক্রমে নেমে আসে?

যেই পরিপ্রেক্ষিতে শিশু, কবি, কঙ্কালের কালি
পরস্পরের চোখে আকাশের অবিরল নক্ষত্রের সাথে
সময়ের গণনায় ধরা দিতে ভুলে গিয়ে তবু
সময়ের ঘড়িটিকে পারে নি থামাতে
আমাদের প্রাণে সেই অগণন বুনোনির লোভ
মস্তিষ্ক বিষণ্ণ তবু তাতে

‘তোমার হৃদয় এক- হয়তো বাফুন-
কোথায় শিকড় তবু তার
অনেক ফুলের পাশে হয়তো-বা শুয়ে
তবুও শেজের অন্ধকার
ক্রমেই ঘনাতে আছে- দেখ না কি চেয়ে
রোদের সোনালি লোম কয় ভরি নিকষ সোনার?’

যদিও দেবতা ম’রে হাল ছেড়ে গেছে
শোধিত হয় নি আজও পিতাদের ঋণ
তবুও আবার নারী: সেন, রায়, শতরোজি, মিঙ্
জেগে ওঠে পৃথিবীর পুরুষের সাথে রফিক, মোমিন
ক্রমেই অধিক প্রেমিক সমীচীন;
তবুও এ-পৃথিবী আজও প্রেম-পাপের ফসিল;
পাখির ডানায় জ্বলে নিবিড় সাটিন
প্রতিটি আসন্ন ভোরে জলসিড়ি নদী
চোখের জলের চেয়ে কিছু সমীচীন।


সকালবেলার রোদে ঝরনার জলে
ইন্দিরা সান্যাল আর আমি খেলি পাশা
তবুও নিকটে এক তিত্তিরাজ গাছে
মৌমাছি বেঁধেছিল বাসা
কুমারীকে দেখে তার মনে হল: নির্ঝরের জলে
প্রতিটি রোদের মুখে নরম কুয়াশা

কোন কথা মনে হল গাছের তা হলে
কোন কথা ভেবে গেল দুপুরের রোদ
জন-মানবের কোনও ঘ্রাণ নেই ব’লে
মৌমাছিরা পেতেছিল গভীর আমোদ
যদিও সৌন্দর্য আছে নারীর সমাজে
দার্শনিকদের প্রাণে রয়ে গেছে বোধ

তবুও তাদের হাতে এক বার যদি
প’ড়ে যায় বিকেলের জলের নিক্কণ
জৈমিনির ভূত এসে ব’লে যাবে তবে
আমি-ই তো লাটিমের মতো ঘুরে রাধাকৃষ্ণণ
অথবা জলের আভা- ভেবে যাবে পুরুষেরা- নারীর প্রতীক
বিকেলের নির্ঝর কেউ নয় ব’লে অচেতন।