যযাতির তরুণ শরীর

দু’-চারটে বাড়ি সাঁকো আর সূর্য মাঠ উঁচু-নিচু
মনে হয় নদীটির আসা-যাওয়া যেন কোন চেনা মেয়েটির নৃত্যের ভেতর প্রথমত
তাহার চোখের ‘পরে কালো ও কঙ্কালে অবনত
এমন জিনিস ছাড়া ছিল না ক’ কিছু

কোনও দিন হবে না ক’ এদের মরণ:
নীলাভ ডানার কাক আশ্বিনকে কাছে ডেকে আনে
মাইল-মাইল খেতে হরিণের মানুষের প্রাণে
আকাশের সমস্ত ব্যাপ্তির আলোড়ন

প্রকৃতির আশ্চর্য যন্ত্রের মতো আঘাত করছে অবিরত
মেঘের গহ্বর থেকে ছুটি পেয়ে আশ্বিন রূপসি
মুখোমুখি আমাকে বসতে বলেছে ব’লে বলি
এসেছে সে বাবলা’র শাখা হাতে পাড়াগাঁ’র শঙ্খিনী’র মতো

ধান ছাঁটবার ঢেঁকি- ঢেঁকির পাড়ের শব্দ, মাছি, আনারস, চিল, শালিখের ভিড়
সঙ্গে তার;- পশ্চিম মেঘের থেকে সূর্যের হৃদয়
নদী আর আখ-খেতে নেমে শেষ রৌদ্রের ক্ষয়
ক’রে গেলে চারি-দিকে জ্যোৎস্না, পায়রা, যযাতি’র তরুণ শরীর।