যখন নগরী আরও অন্ধকার

যখন নগরী আরও অন্ধকার হয়ে গেল
শত্রুপক্ষ কাজ সাঙ্গ ক’রে দিয়ে চ’লে গেছে ব’লে
তখন এ-পৃথিবীকে মনে করা যেত যদি- জাহাজের মতো
কোয়েরেন্টিনে থেমে মুক্ত তবু,- চলেছে মুখ্যত
(চুম্বক-দ্বীপের পানে)
অদ্ভুত মিহিন এক অনুভূতি রয়ে গেছে তোমার তা হলে
চারি-দিকে শব্দ শোনা যায় সব কানের নিকটে সমুদ্রের:
এই মহাভারতের যুগ- ঐ শল্য, কর্ণ, কৃষ্ণ- কেউ মৃত নয়
প্রতিধ্বনি নয়-
সব উর্বর ক্যাটগাটগ্রন্থি দিয়ে গ্রথিত সময়
অবিরাম ইহুদি’র নির্গমন, প্রত্যাগমনের।
টের পাই।
কান খাড়া ক’রে আর্ত কুকুর যেমন
একান্ত আবিষ্ট দূর মনিবের বিপন্ন সত্তায় বিচরণ
জেনে ফেলে;- বরুণ, নাগিনি, যম যেমন সে-কুকুর’কে পেয়ে যায় টের।