যখন প্রেমিক তার শরীরকে

যখন প্রেমিক তার শরীরকে আশাতীত ভাবে
আজ এই পৃথিবীর দুর্দৈবের থেকে
পরিচিত প্রভুভক্ত কুকুরের মতো
মানব-আত্মার পিছে নিয়ে গেল ডেকে

তখন তাহার কাছে লগেজের লেবেল ছিল না
অনেক আকাশ আলো তাকে তুলে নিয়ে
কানামাছি বালিহাঁস তিন জন দু’ জন হারিয়ে
যেন পরিচিত হয়ে তবু ভুলে গিয়ে

যেন কোনও জাদুকর প’ড়ে পাওয়া পরের স্ফটিকে
নিজের বিষণ্ন চোখ রেখে দিয়ে একা
মেঘাচ্ছন্ন পৃথিবীর সন্নিপাতে জনতাকে লব্ধ ভাবে দেখে চিনে নেয়
নিজের ও প্রেয়সীর হাতের লুকোনো আয়ুরেখা।

চিনে নেয় আসন্ন চাঁদের আগে নিজ চক্ষুকর্ণে এক বার
সে কি তবে যুগ শেষ না হবার আগেই সুনাম ভুলেছে
অথবা আমাকে মৃত প্রতিভূ প্রতীক মনে ক’রে নিয়ে
এখন নতুন সূর্যে চ’লে গেছে?

এমন বিতর্ক নিয়ে অপরাহ্নে কোনও এক ভূমিকার লোভে
প্রেমিক দাঁড়ায়ে আছে তবু এক গোলকধাঁধায়
চারি-দিকে উঁচু নিচু কয়েকটি নগরীর ধোঁয়া
শতাব্দীর ঋণ মৃত্যু স্নায়বিকতায়।

উড়ে যায় নোনাধরা দেয়ালের মালা চেকনাই আভার
দুপুরে মিহিন ঘণ্টা বাজে
অনেক শতাব্দী পণ্ড হয়ে গেলে নিজে
নিজের স্বতন্ত্র সত্তার অবুঝ পতন।

বিকেলে অব্যক্ত ঘণ্টা বেজে ওঠে নগরীর জলের উপরে
ঠান্ডা আকাশের স্বাদ বহু ক্ষণ থেকে
নীচু হয়ে ঝুঁকে আছে এই সব শহরের গায়ে
সহসা এমনতর নগরীকে দেখে

মনে হল নিভাননী রয়ে গেছে এইখানে, আহা,
বুদ্ধ’র মৃত্যুর পরে, কল্কি’র জন্মের আগে সেই এক নারী
দু’ দণ্ড প্রশান্তি দেবে হৃদয়কে- ব’লে গিয়েছিল
আহত হৃদয় তাই বহু দিন থেকে হঠকারী।