জলের স্তব্ধতা

জলের স্তব্ধতা আজ জেগে আছে এইখানে সমুদ্রবেলায়
নির্জন পামের ভিড় যে যাহার পৃথিবীর স্থান বদলায়
সাত সমুদ্রের শব্দ সুদূরের মাইল থেকে এইখানে এসে
গলার আস্পর্ধা খাটো ক’রে নিয়ে শেষে
নুড়ির ভিতর কিছু মুড়-মুড় শব্দে ভেঙে যায়

হয়ে এলে তুমি এই কিনারায় এক নারী- একাকী এখন
জনতার যে যাহার যখন মিশেছে তার জন-সাধারণ
হৃদয়ে ঘুমের পথে- চারি-দিকে তবুও নীরব
সিন্ধুর পায়রাগুলো সে-রকম আমাদের দু’জনের চোখ অনুভব
ক’রে ফেলে উড়ে যাবে সময়ের শব্দের মতন।

সকাল ও বিকেলের শুকতারা কখন কাহাকে
বিকেল বা ভোরবেলা দেখা যায় আকাশের ফাঁকে
সেই কথা শেষ ক’রে এইখানে সকল সময়
পরিচিত সাদা আলো ব’লে মনে হয়
খুলে আসে- বুজে যায়- গণনা-বিজ্ঞানী সব ঘুঘুদের ডাকে

পৃথিবীতে ঢের দিন রাষ্ট্র-ভাষাভাষীদের ভাগে
বাটোয়ারা হয়ে তবু তাহাদের আগে
এখানেই সুখ পেয়ে তবুও শান্তির জন্যে কান পেতে থেকে
তোমার শাড়ির সাদা শরীরকে সামাজিক রমণীর মতন বিবেকে
দেখেছি নিজেরই ছায়া খুঁজে নিয়ে- দুইটি ছায়া ঝিনুকের মতো জোড়া লাগে।