জর্নাল: ১৯৩৬

বিস্মৃতি ধুলোর মতো জড়ো হয় যেইখানে-
সেই হিম নিস্তব্ধ আঁধারে
এক বার- আধ বার- চেয়ে দেখি
আজও আমি সেইখানে তারে
খুঁজে পাই;
নিচের তলায় ঠাণ্ডা রোগা অন্ধকারে
রেলিঙের ধারে
রয়েছে দাঁড়ায়ে

আলোর বেগের মতো প্রাণ
ছিল সেই যুবকের:
সূর্য আর নক্ষত্রের যেন সে সন্তান!

তবু তার ভালো লাগে যেন স্থবিরতা
সেখানে সময় শুধু ধূসর ঘড়ির মতো কথা
ব’লে ক্লান্ত- ক্লান্ত ক’রে রাখছে হৃদয়;
ব’সে থেকে ব’সে থেকে ব’সে থেকে মানুষের ক্ষয়
একটি নারীর জন্য হয়।

আমার এ-জীবনের দীর্ঘ- দীর্ঘতর স্তর- অলিগলি ঘিরে
ঈশ্বর- বাসনা- স্বপ্ন- কত বার গেছে সব ছিঁড়ে
শুধু তার প্রতীক্ষা আমাকে
কুশপুত্তলির মতো বার-বার সৃষ্টি ক’রে চলে!
ব্রহ্মাণ্ডের স্বতঃসৃষ্টি- কত প্রলয়ের কোলাহলে
টলে না তবুও তার প্রেমিকের মন
তবু সে খাতক, আহা, সময়ই প্রকৃত মহাজন।

শতভিষা। শ্রাবণ ১৩৮৩