যুবারা যখন গেল

যুবারা যখন গেল জলের উপর দিয়ে চ’লে
কোনও এক ইন্দ্রধনু এঁকে দিতে হয়তো-বা- তার পর আর
যৌবনের বয়ঃক্রম অতিরিক্ত ভাবে শেষ হলে
এই পারে দেনা দিতে ভুলে গেল ব’লে সব নির্লিপ্ত আঁধার

তখন বয়স্কা তার মিনসেকে ল’য়ে এই দেশে
তুড়ি দিয়ে হেসে-হেসে শিকায় শোওয়াল তরবার
কাসিকার সোনালি কাপড়ে তারা দেহ দিল ঢেকে
মাথায় গাধা’র টুপি এঁটে

আকাশের বৃদ্ধত্তর চাঁদ আর মরাইয়ের পেঁচাদের সাথে
পাথরের মতো এই মূর্ত পৃথিবীকে পুডিঙের মতো নিল কেটে
সম্পূর্ণ অক্ষত গায়ে মাড়ির উপর দিয়ে চ’লে গেল মানুষের পেটে
তা হলে তখন তার হাতযশে সময়ের সিঁড়িগুলো ঘুরে- ঘুরে- ঘুরে

নক্ষত্রের বুকে উঠে গিয়ে হল স্থির
অগ্নির ভিতর থেকে উঠে এল নারীটির শিল্পকাজে
অনেক প্রলুব্ধ ঋষি ঈশ্বরের ভিড়
টানাপোড়েনের ফাঁকে- টানাপোড়েনের ফাঁকে আকাশের দেবী-পরিদের
নিজের শয্যার ‘পরে নামাল স্থবির।